সিলেট জেলা ট্রান্সপোর্ট মালিক গ্রুপের নির্বাচনে স্থিতিতাবস্থা ও শোকজ



সিলেট জেলা ট্রান্সপোর্ট মালিক গ্রুপের কোন কার্যক্রম পরিচালনা ও নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে স্থিতাবস্থা জারী করেছেন সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ আদালত।
 
সংগঠনের পক্ষে আখলিছুর রহমান গং কর্তৃক দায়েরকৃত স্বত্ব মোকদ্দমা নং ২৬/২০২২ এর প্রেক্ষিতে এই স্থিতাবস্থার আদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি মামলার বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ করা হবে না এই মর্মে নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোরও নোটিশ দিয়েছেন আদালত।  
আখলিছুর রহমানের দায়েরকৃত মামলার বিবাদীরা হলেন সিলেট জেলা ট্রান্সপোর্ট মালিক গ্রুপের ২০২২ সালের র্নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিজিত চৌধুরী ২০১৮-২০২০ সনের কার্যনির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাহেদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম। 

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, সিলেট জেলা ট্রান্সপোর্ট মালিক গ্রুপের ২০১৮-২০২০ইং সনের কার্যনির্বাহী কমিটির অবৈধ ও অকার্যকর। গ্রুপের সংঘবিধি অনুযায়ী কার্যনির্বাহী কমিটির কোন সদস্য একটানা দুই মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হলে ৩য় মেয়াদের নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। দুই মেয়াদ শেষে কার্যনির্বাহী সদস্যরা অব্যাহতি হয়েছেন বলে গণ্য হবে। কিন্তু এই বিধি অনুসরণ না করেই বর্তমান নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন এবং বেআইনীভাবে ৮ জনের নাম প্রার্থী তালিকায় প্রকাশ করেছেন। ২০১৮-২০২০ সালের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা সংগঠনের ফান্ডের প্রচুর টাকা আত্মসাত করেছেন এবং নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়েছেন। উক্ত কমিটির মেয়াদ ৩০/০৬/২০২০ইং শেষ হলেও তারা পরবর্তী কোন নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন নাই। উপরন্তু বেআইনীভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে গেছেন। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবারে ২১/১১/২০২১ একটি অভিযোগ প্রদান করা হয় এবং গ্রুপের জন্য প্রশাসক নিয়োগের আবেদন করা হয়। কিন্তু এতে কোন সুফল পাওয়া যায়নি। ২০১৮-২০ সালের কার্যনির্বাহী কমিটি বেআইনীভাবে সদস্য অন্তর্ভূক্ত ও বাতিল করেছেন। ২১/১১/২০২১ইং নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকল সদস্যকে ২০২১ইং পর্যন্ত মাসিক চাঁদা প্রদানর অনুরোধ করেন। এব্যবস্থায় মামলার বাদী সহ অনেক সদস্য চাঁদা পরিশোধ করতে গেলে বিবাদী সাহেদুর রহমান ও নুরুল ইসলাম শুরু করে চাঁদা গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে মামলার বাদী আখলিছুর রহমান সহ কয়েজন চাঁদা গ্রহণের আবেদন করলেও তিনি তা গ্রহণ করেন নি। 

০৮/০১/২০২২ইং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হলে দেখা যায় বেআইনীভাবে গ্রুপের ১০৭ জন সদস্যকে ভোটার তালিকা থেকে চাঁদ দেওয়া হয়েছে। বর্তমান নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় দেখা যায় বিধি পরিপন্থি ও অভৈধভাবে ৮ জন সদস্য প্রার্থী হয়েছেন। এ ব্যাপারেও নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। উপরন্তু উক্ত চেয়ারম্যান প্রভাবিত হয়ে ১২/২/২০২২ইং নির্বাচনের তারিখ ধার্য্য করেন। বাদী সহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দের অভিযোগ বিবাদীরা সহ তাদের সহযোগীরা সম্পূর্ণ তাদের সহযোগীর সম্পর্কে বেআইনী ও তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য একটি অবৈধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.