পুকুরে ইলিশ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিলেন তিনি



মাছের রাজা ইলিশের বসবাস গভীর লোনা জলে। মাছের রাজা বলেই রুই বা পুঁটির মতো পুকুরের আবদ্ধ পরিবেশ তাদের একদমই পছন্দ না। ইলিশ বোধ হয় দুঃস্বপ্নেও পুকুরে থাকার কথা ভাবে না! তবে হুগলির চন্ডীচরণ চট্টোপাধ্যায় ইলিশদের পুকুরেই থাকতে বাধ্য করলেন! েএমন অসম্ভব কাজকে সম্ভব করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন তিনি।

কলকাতা থেকে মাত্র দু’ঘণ্টার দূরত্বে হুগলি জেলার মগরায় চন্ডীচরণের বসবাস। সেখানেই প্রায় ৫৯ একরের একটি হ্যাচারি রয়েছে তার। সেই হ্যাচারিতেই ডিম থেকে ইলিশের পোনার জন্ম। এখন সেই পোনাগুলোই বড় হচ্ছে।
এই জেলের এমন কান্ডে মুগ্ধ ইলিশ বিশেষজ্ঞরাও। কয়েকজন নামকরা বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে ওই হ্যাচারিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মত্স্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। জাল ফেলে তোলা হয় পুকুরে জন্মানো ইলিশ মাছ। হাতে নিয়ে একেবারেই অবাক হয়ে যান মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমার কাছে বেশ অবিশ্বাস্য মনে হলো। ইলিশ মাছ পুকুরেই বড় হতে পারে তা এই প্রথম দেখলাম।

কিভাবে এটা সম্ভব হলো? চন্ডীচরণ বলেন, আমি ২০১৬ সালে মত্স্য দফতরের কর্মকর্তাদের একটি প্রস্তাব দিই। কিন্তু সে সময় কেউ তেমন গুরুত্ব দেয়নি। তবে কথাটা কানে আসতেই আমাকে নিজের ঘরে ডেকে নেন চন্দ্রনাথ সিনহা। সব শুনে সরকারি সাহায্যর প্রতিশ্রুতি দেন। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি আমাকে।
সরকারি সহায়তা আর অদম্য সাহস নিয়ে পুকুরের মিঠা পানিতেই নোনা ইলিশ চাষ করে দেখিয়েছেন তিনি। স্বাদ আর গন্ধেও কোনো পার্থক্য নেই বলে দাবি চন্ডীচরণের। ওই রাজ্যের ইলিশ বিষেশজ্ঞরা বলছেন, গঙ্গায় যেহেতু জোয়ার-ভাটা হয়, তাই ইলিশের ওজনও দ্রুত বাড়ে। গঙ্গায় আঠারো মাসে একটি ইলিশের ওজন হয় প্রায় এক কেজির কাছাকাছি। এই হ্যাচারিতে ইলিশের ওজন হয়েছে মাত্র পাঁচশো গ্রাম।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.