ঝিনাইদহে মুয়াজ্জিন হত্যার নেপথ্যে ‘পরকীয়া’
ঝিনাইদহে মুয়াজ্জিন সোহেল রানা হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার কারণে সোহেল রানাকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে স্বামী রাজু আহম্মেদ। খবর ইউএনবি’র।
বুধবার সকালে রাজুকে সদর উপজেলার বাগুটিয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, রাজুর স্ত্রী জুলিয়া ও সোহেল রানার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জুলিয়ার পরিবারের লোকজন জানতে পেরে ৪ মাস আগে তাকে রাজুর সাথে বিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ের পরও জুলিয়া সোহেলের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, বিষয়টি রাজু জানতে পেরে সোমবার রাতে স্ত্রীকে দিয়ে মোবাইল ফোনে সোহেল রানাকে ডেকে আনেন। পরে রাজু ও তার দুজন সহযোগী মিলে পাটক্ষেতে নিয়ে সোহেলকে গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পাটক্ষেতে ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রিংকু হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খান অভিযান চালিয়ে প্রেমিকা জুলিয়া খাতুনকে আটক করেন।
তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ও নিহতের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে ও বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।


কোন মন্তব্য নেই