বিশ্বকাপে সাকিবের বিরল রেকর্ড



সাকিব আল হাসান এই বিশ্বকাপে রেকর্ডের পর রেকর্ড করেই যাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের বিশ্বকাপে চার`শো রান পূর্ণ করলেন। যেখানে সাকিব প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার; সাকিব ছাড়া আর কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান কোনো টুর্নামেন্টে চারশো রান করতে পারেননি।
আজকে সাকিব হাসাতে পারেনি তাঁর ব্যাট থেকে। তবে গড়ে গেছেন রেকর্ড। রেকর্ডের বরপুত্র বলা হয় তাকে,ভুল বলা হয়না।
আশা জাগিয়েও নিরাশ করলেন তামিম
সাকিবের বিদায়ের পরে আশা ছিল তামিমের উইলোতে। কিন্তু পারলেন না তামিমও। ফিরে গেলেন বোল্ড হয়ে। পূর্ণ করতে পারলেন না নিজের বিশ্বকাপের প্রথম শতক।
তামিমের অর্ধশতক
৬৫ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নিলেন তামিম ইকবাল। সাকিব-সৌম্যের বিদায়ের পর চাপের মুখে তামিম তাঁর অর্ধশতক পূর্ণ করলেন।
২০০৭, ২০১১, ২০১৫, ২০১৯-- বিশ্বকাপে তামিম ইকবালের চার ফিফটি এলো চারটি আসর মিলিয়ে। এবারেরটি পেলেন ৬৫ বলে, সর্বোচ্চ স্কোর এখন পর্যন্ত তার গত বিশ্বকাপে, নেলসনে স্কটোল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ৯৫ রান।
পারলেন না সাকিব
যেই সাকিবে বুক বেঁধে ছিল বাংলাদেশ,সেই সাকিবের বিদায়ের পর বাংলাদেশ যেন একপ্রকার হেরে গিয়েছে ম্যাচ।
স্টয়নিসের বল ঠিকভাবে ব্যাতে না লেগে ক্যাচ উঠে যায় ওয়ার্নারের কাছে। সাকিব আউট হয়েছেন ৪২ করে। 
সে সাকিবেই শেষ ভরসা বাংলাদেশের
শুরুতেই রান আউট হওয়া সৌম্যর বিদায়ের পরের চাপ কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ত্রাণকর্তা সাকিব আল হাসান আবারো নিজ হাতে তুলে নিয়েছেন টাইগার ইনিংসের ভার। সাথে সঙ্গ দিচ্ছেন তামিম।
সাকিব অপরাজিত আছেন ৩৮ রানে,তামিম ৩৬ রানে।

২৭ টি রান আউটে সরাসরি জড়িত তামিম    
অন্তত এই জিনিসটা চাইতো না বাংলাদেশ, শুরুতেই একটি রানআউট। মিড-অনে খেলে সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল, তবে একটু দৌড়ে থমকে গেলেন সৌম্য, তাকে দাঁড়িয়ে যেতে দেখে পড়িমড়ি করে ফিরে এলেন তামিম। সৌম্য এরপর রানের জন্য দৌড়াতে চেয়েও তামিমককে দেখে ঘুরে তার প্রান্তে যেতে চাইলেন, তবে ততক্ষণে ফিঞ্চের থ্রো ভেঙে দিয়েছে স্টাম্প।
ওয়ানডেতে ২৭ টি রান আউটে জড়িত ছিলেন তামিম ইকবাল। নিজে আউট হয়েছিলেন ১৫ বার, পার্টনার আউট হয়েছেন ১২ বার। তামিম ক্রিজে থাকা অবস্থায় সৌম্য রান আউট হয়েছেন ৩ বার।   
ব্যাটিং স্বর্গ ট্রেন্টব্রিজে অসম্ভব নয় কিছুই    
ট্রেন্টব্রিজ ব্যাটসম্যানদের জন্য বরাবরই স্বর্গ। এখানেই ওয়ানডের বিশ্বরেকর্ড ৪৮১ রান হয়েছিল, ৬ উইকেটেই এই রান তুলেছিল ইংল্যান্ড।
সেইসঙ্গে এই মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটিও ইংল্যান্ডেরই দখলে। ২০১৫ সালের জুনে নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমণ সামলে ৩৫০ রান তাড়া করেছিল ইংল্যান্ড।
সে রান তাড়ায় ইংলিশরা মাত্র ৩টি উইকেট হারিয়েছিল। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার সময় ওভার হাতে ছিল ৬টি। বোঝাই যাচ্ছে, ট্রেন্টব্রিজের এই উইকেটে রান হওয়াটাই স্বাভাবিক।
তারপরেও অজি বোলারদের সামনে ৩৮২ রান করা আর পাহাড় পাড়ি দেয়া একই কথা। যেহেতু মাঠে খেলছে ওরা ১১ জন,ভরসা রাখতে দোষ কি?
বোকামিতে সাজঘরে সৌম্য  
৩৮২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই সাজঘরে সৌম্য। নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিলেন এই ওপেনার।
৮ বলে ১০ রান করে ছন্দে ছিলেন সৌম্য। চতুর্থ ওভারে তামিমের ভুল কলে রানআউট হন সৌম্য।
স্কোরবোর্ড   
বাংলাদেশ ১৪৪/৩
ওভার ২৪.১
অস্ট্রেলিয়া ৩৮১/৫
ওভার ৫০

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.