১ মাস আটকে রেখে ধর্ষণ, ধর্ষকের প্রতিবন্ধী ভাইয়ের সাথে বিয়ের অপচেষ্টা!
ডেস্ক রিপোর্টঃঃ গোয়াইনঘাট থানার রাতারগুল গ্রামে ১ মাস যাবত এক যুবতীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাটের বাসিন্দা ধর্ষিতা যুবতী সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তাছাড়া সিলেটের পুলিশ কমিশনার বরাবরে ৩ মার্চ একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, খাদিমপাড়ার খুনিরচক গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে শামীম আহমদ, ছালেহ আহমদ, মৃত আব্দুশ শহীদের স্ত্রী নেহারুন বেগম, রাতারগুল গ্রামের জামির উদ্দিনের মেয়ে সোয়াদা বেগম, জামির উদ্দিনের স্ত্রী আমিরুন নেছা ও মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে জমির উদ্দিন।
ধর্ষিতার অভিযোগ, অভিযুক্ত সোয়াদা বেগম পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে তার বাসায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য নিমন্ত্রন দেন। তাদের অনুরোধে তিনি রাজী হলে ১৭ জানুয়ারি সোয়াদা বেগম ও আমিরুন নেছা তাকে তাদের বাসায় নিয়ে যান। ঐ দিন রাত ৯টার দিকে শামীম আহমদ সোয়াদার বাসায় আসেন। তখন সোয়াদা বেগম ও আমিরুন নেছা উক্ত শামীম আহমদের সাথে কথা বলতে বলেন। তাতে তিনি অপরাগতা প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় শামীম আহমদ তাকে ধরে জোর পূর্বক বাসার একটি কক্ষে নিয়ে যান। তখন সোয়াদা বেগম ও আমিরুন নেছা যুবতীকে বলেন, শামীম আহমদ বড়লোক তার প্রস্তাবে রাজী হয়ে যাও। তখন এ কথার প্রতিবাদ করলে শামীম আহমদ জোর করে কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন শামীম আহমদ। এভাবে প্রায় একমাস প্রতিদিন রাতে তাকে ধর্ষণ করেন শামীম আহমদ। পরবর্তীতে নির্যাতিত যুবতী বাড়ী যেতে চাইলে সোয়াদা বেগম ও আমিরুন নেছা তাকে আটকে রাখেন। তারা উক্ত শামীম আহমদের প্রতিবন্ধী ভাইয়ের সাথে তাকে বিবাহের প্রস্তাব দেন। তাতে তিনি রাজী না হলে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ৩টি সাদা জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে যুবতির স্বাক্ষর নেন তারা। ১৪ ফেব্রুয়ারি সুযোগ মতো ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে ধর্ষিতা যুবতীকে উদ্ধার করেন। বর্তমানের জীবনের নিরপত্তাহীনতায় ভোগছেন ভোগক্তভোগী পরিবার। পাশাপাশি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আসামী উপযুক্ত শাস্তি দিতে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়।


কোন মন্তব্য নেই