৯ম শ্রেণীর ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ গৃহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

যশোরের বেনাপোলের পোর্ট থানাধীন ছোট আঁচড়া গ্রামে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে তারই গৃহ কোরআন শিক্ষক আপেল উদ্দিনের (৫০) বিরুদ্ধে।  মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকালে শিক্ষকের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠে।
ঘটনার শিকার ছাত্রের সাথে কথা বলে জান যায়,  সোমবার (২২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার সময় হুজুরের বাড়ির সামনে গেলে তিনি তাকে ডাক দেন। কিন্তু সে সকালে দেখা করবো বলে সে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। পরের দিন মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকালে হুজুরের বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাবার সময় হুজুরকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করে কাল রাতে কেন তাকে ডাকা হয়েছিলো। তখন হুজুর ছাত্রটিকে বাড়ির ভিতরে তার ঘরে নিয়ে যেয়ে বলে বাড়ি কেউ ছিল না, একা থাকবো তাই তোমাকে ডেকেছিলাম।
সে আরও জানায়, হুজুরকে ঘরের দরজা বন্ধ করতে দেখে, সে স্কুলে যাবে এমটি বলে দরজা বন্ধ করতে অনুরোধ জানায়। তখন হুজুর তাকে স্কুলে পরে যেও বলেই ঘরের দরজা বন্দ করে তাকে ঝাপটে ধরে। তখন সে চিৎকার করলে এলাকার লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
এদিকে ছাত্রের দাদা বলেন, কোরআন শিক্ষক আপেল তার বাড়িতে সকাল বেলা তার পোতা ছেলেকে ডেকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে বলাৎকার করে। এসময় সে চিৎকার দিলে তার গলা টিপে ধরে। পরে আশে পাশের লোকজন তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে আপেল উদ্দিনকে মারধর করে। এ ঘটনায় স্থানীয় মাতুব্বাররা তার বিচার করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
বেনাপোল পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন জানান, আমি লোক মুখে শুনেছি ওই হুজুর একজন খারাপ চরিত্রের লোক। তাই স্থানীয় ভাবে তার বিচার না হয়ে, আইনের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।
এ ঘটনার পর শিক্ষক আপেলের সাথে যোগাযোগ করতে তার বাড়ি গেলে বাড়িটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় এলাকার একাধিক লোকজন অভিযোগ করেন, এর আগেও সে খারাপ কাজ করেছে। তার এধরনের আচরণে তার নিজের মেয়ে গলায় রসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর আগে আপেলের বাড়ি ছিল বেনাপোল পোর্ট থানাধীন সাদিপুর খেয়াঘাট পাড়া গ্রামে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই পিন্টু লাল বলেন, এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে তেমন কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া এধরনের স্পর্শ কাতর ঘটনা যাচাই-বাছাই করার জন্য থানা থেকে ছোট আঁচড়া গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.