রাশিয়া ও সৌদির সহযোগিতা ওপেকের মৃত্যু ডেকে আনবে, হুঁশিয়ারি ইরানের



ইরানের তেলমন্ত্রী বিজান জাগানেহ বলেছেন, ওপেকের কিছু সদস্য দেশের হাতে নিয়ন্ত্রণ থাকলে মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রিক তেল উৎপাদক জোট ওপেক বিলুপ্ত হবে। এসময় তেল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে রাশিয়া-সৌদি জোটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও ইরানি তেলমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। আজ ভিয়েনায় ওপেক বৈঠকে তেল উৎপাদন সীমিত রাখার সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করবে সদস্য দেশগুলো। এরপর আগামীকাল নন-ওপেক তেল উৎপাদক যেমন রাশিয়া এবং আরো কিছু আফ্রিকান দেশের সঙ্গে এই ব্যাপারে এক চুক্তি করা হবে। । সূত্র : সিএনবিসি।
অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় তিনি সংবাদর্মীদের জানান, ওপেক শুধু ওপেক জোটের দেশগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা, উচিৎ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ইতিমধ্যেই এই জোট তার ক্ষমতা, প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই হারিয়েছে এবং বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে।

জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সৌদি যুবরাজ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ আরো ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রেক্ষিতে ইরানি মন্ত্রী এমন কথা বলেছেন। রাশিয়া এবং সৌদি আরবের একনায়কতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ ওপেকের জন্য ক্ষতিকর উলে¬খ করে তিনি বলেন, ‘ইরান ওপেক ত্যাগ করার কথা ভাবছেনা, কিন্তু আমি মনে করি এই প্রক্রিয়া যদি চলতে থাকে তাহলে জোটটির মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত।’
এই কথার মধ্যে দিয়ে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, নিজ স্বার্থেই অনেক দেশ রাশিয়া-সৌদি প্রভাবের বাহিরে নিজস্ব তেল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার লক্ষ্যে ওপেকত্যাগ করতে পারে।
এর আগে ২০১৭ সাল থেকেই ওপেক এবং তার সহযোগী নন-ওপেক তেল উৎপাদক দেশগুলো, বিশেষ করে রাশিয়া বাজার সরবরাহ সীমিত করে আসছে। বিশ্ব অর্থনীতির গতি কমে আসায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের তেল উৎপাদন রাশিয়া ও সৌদি আরবকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে, তেলের দর নিয়ন্ত্রণে তারা এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.